মাদের জীবনে তিনটি মৌলিক চাহিদা রয়েছে এক অন্ন, দুই বস্ত্র এবং তিন বাসস্থান। আর এগুলোকে পাওয়ার জন্য আমরা কোন না কোন জীবিকা বেছে নি। কেউ চাকরি করেন, কেউ ব্যবসা, কেউ বা অন্যান্য রকমের জীবিকা। আবার কেউ নিজের টিকে থাকার জন্য অস্তিত্বের লড়াইয়ে বেঁচে থাকার জন্য ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নেন জীবিকা হিসেবে। কিন্তু এই ভিক্ষাবৃত্তি যদি হয় আপনার দ্রুত ভাগ্য বদলে চাবিকাঠি। অবাক হচ্ছেন? আজ্ঞে  হ্যাঁ, আজ আমরা এমন 5 জনকে নিয়ে কথা বলব যারা ভিক্ষাবৃত্তিকে জীবিকা হিসেবে বেছে নিও দ্রুত বদলে ফেলেছেন নিজেদের ভাগ্যকে। তারা বাড়ি বানিয়েছেন পরিবার সামলেছেন এমনকি স্বাবলম্বী হওয়ার পরেও ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়েন নি। বরং তাদের নাম উঠে এসেছে ভারতের সর্বাধিক বিত্তবান ভিক্ষুকদের তালিকায়। চলুন এই বছরের সর্বাধিক বিত্তবান ভিক্ষুকদের তালিকা টা একবার ঝালিয়ে নেওয়া যাক।

ভরত জৈন

49 বছরের এই পৌড় ভিক্ষুক সমাজে এক জীবন্ত কিংবদন্তি। ইনি শুধু ভারতের না পৃথিবীর সর্বাধিক বিত্তবান ভিক্ষুদের মধ্যে একজন। ভরত প্রতি মাসে প্রায় 75 হাজার টাকা উপার্জন করেন। আর তার দৌলতেই ওর 70 লক্ষ টাকা দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে মুম্বাইয়ের মত শহরে। এছাড়াও বানদুপে একটি দোকান রয়েছে। যা থেকে মাসে প্রায় 10 হাজার টাকা রোজগার করেন। 30 বছর ধরে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করছেন।

 

কৃষ্ণকুমার গাইট 

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মুম্বাইয়ের চারনি রোড ট্রাফিক সিগনালে ভিক্ষাবৃত্তি করা কৃষ্ণকুমার গাইট। যার মাসিক ইনকাম প্রায় 70,000 টাকা। তালিকার প্রথম ব্যক্তি থেকে অল্প কিছুটা পিছিয়ে থাকায় ভিক্ষুক মুম্বাইয়ের নালসোপাড়ায় প্রায় 5 লক্ষ টাকার একটি ফ্ল্যাটের গর্বিত মালিক। উল্লেখ্য ওই বাড়িতেই তিনি তার ভাইয়ের সাথে থাকেন এবং তার সমস্ত টাকাপয়সার হিসেব রাখেন ভাই।

  

পাপ্পু কুমার 

তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিহারের পাপ্পু কুমার। ছোটবেলায় এক দুর্ঘটনায় পা হারানোর পর পাটনার রেলস্টেশনে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন পাপ্পু। এনার বর্তমান মোট সম্পত্তির পরিমাণ 1 কোটি 25 লক্ষ টাকা। এনার চারটি সেভিং একাউন্ট রয়েছে ব্যাংকে। বিপুল পরিমাণ এই আয়ের দরুন শুধু ভিক্ষাবৃত্তি নয় তিনি ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণ দিয়ে থাকেন।

 আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তি ও পৌষ পার্বণ এর কিছু অজানা রহস্য !

সর্ভাতিয়া দেবী

আমাদের তালিকায় একমাত্র নারী যিনি চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তিনি হলেন সর্ভাতিয়া দেবী। ইনি বিহারের বাসিন্দা এবং এনার মাসে আয় প্রায় 50 হাজার টাকা। সর্ভাতিয়া দেবী ভিক্ষাবৃত্তি করে উপার্জিত টাকা থেকেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। জীবন বীমার জন্য বছরে প্রায় 36 হাজার টাকা প্রিমিয়াম ও ভরেন তিনি। ভিক্ষাবৃত্তির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করতে এবং তীর্থযাত্রায় যেতেও ভালবাসেন। তাই স্থানীয়দের কাছে ইনি টুরিস্ট বেগার নামেও পরিচিত। এমন পেশার দরুন তাকে ট্রেনের ভাড়া দিতে হয় না আবার বাড়ানোর পাশাপাশি পেশাটাও চালিয়ে যেতে পারেন তিনি।

 

 মালানা খান বা মাসু

কোন ভিক্ষুককে  কখনো অটো চড়ে ভিক্ষা করতে যেতে দেখেছেন? হ্যাঁ আমাদের তালিকার পঞ্চম ব্যক্তি মালানা খান বা মাসু, ভিক্ষা করে থাকেন এমন স্টাইলে। মুম্বাইয়ের লখনওয়ালা এলাকায় সিগনালে বা বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট এর বাইরে দেখা পেতে পারেন এই মানুষটির। মাসে প্রায় 30 থেকে 40 হাজার টাকা রোজগার করে আজ তার প্রায় 30 লক্ষ টাকার সম্পত্তি রয়েছে মুম্বাই শহরে। এছাড়াও রয়েছেন সাম্বাজি কালে বা কোলকাতার লক্ষ্মী দাস এর মত বহু ভিক্ষুক অভাবের তাড়নায় পেটের দায়ে স্বেচ্ছায় ভিক্ষাবৃত্তির বেছে নিলেও এরা প্রমাণ করেছেন ভিক্ষাবৃত্তি করেও সফল হওয়া যেতে পারে। ভালো থাকুন সকলে।

Cradit-UltiMad Media youtube

আরও পড়ুন:একটি সাধারণ ছেলে থেকে কার্তিক আরিয়ান হয়ে ওঠার অজানা গল্প !

 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন